News update
  • IAEA Chief Calls for Renewed Commitment to Non-Proliferation     |     
  • UN Aid Chief Warns Humanitarian Work Faces Collapse     |     
  • Arab-Islamic Summit yields limited action over Israeli strike on Doha     |     
  • National Consensus Commission term extended till October 15     |     
  • EU Helping BD prepare for free, fair elections: Envoy Miller     |     

তিস্তাপাড়ে মানুষের ঢল, স্লোগানে স্লোগানে মুখর সমাবেশস্থল  

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক রাজনীতি 2025-02-17, 5:48pm

4363454353-a7081228acadf9866bbe48f941967dd01739792900.jpg




‘জাগো বাহে-তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠেছে রংপুর-লালমনিরহাটের সংযোগস্থলে অবস্থিত তিস্তা রেলসেতু এলাকা।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকেই তিস্তা বাঁচাও আন্দোলনের টানা ৪৮ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচিতে যোগ দিতে লাখো মানুষের ঢল নেমেছে সেতুর নিচের সমাবেশস্থলে। রংপুর বিভাগের ৫ জেলায় তিস্তা চুক্তি ও মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের অংশ হিসেবে এ অবস্থান কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মূল সমাবেশ দুপুর ২টা থেকে শুরু হয়েছে। টানা ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে। এর মাধ্যমে তিস্তাপাড়ের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে সরকারকে দাবি বাস্তবায়নে চাপ দেওয়াসহ বিশ্ব পরিমণ্ডলে তিস্তার দুঃখ তুলে ধরা হবে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা। এরইমধ্যে মঞ্চের সামনে শিক্ষার্থী, কৃষক, মৎস্যজীবী, পরিবেশকর্মী, শিক্ষক, চিকিৎসক থেকে শুরু করে বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের সদস্যরা এক কাতারে শামিল হয়েছেন তিস্তা রক্ষার দাবিতে। সমাবেশে অংশগ্রহণকারীদের চোখে-মুখে ক্ষোভ আর আশার ছাপ। একদিকে নদী মৃত্যুর প্রহর গুণছে, অন্যদিকে এরই মধ্যে জেগে উঠেছে জনতার অদম্য সংহতি।

সমাবেশে আসা কৃষকরা বলছেন, একসময় এই নদীই ছিল তাদের জীবন জীবিকার একমাত্র উৎস। এখন বালু আর পাথর ছাড়া কিছুই নেই নদীতে। দুই ফসলি জমি এখন মরুভূমি। আবার যখন পানি আসে, বাড়ি ঘর ছাড়তে হয় তাদের।

এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক, লালমনিরহাট জেলা বিএনপির সভাপতি ও তিস্তা নদী রক্ষা কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী আসাদুল হাবিব দুলু বলেন, ‘সোমবার সকাল থেকে রংপুর অঞ্চলের লাখো মানুষ তিস্তাপাড়ে জড়ো হয়েছেন। তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা ও তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলো জন আকাঙ্ক্ষার দাবি। এ কারণে এ অঞ্চলের মানুষ ঘরে বসে নেই। তারা নিজ দায়িত্বে তিস্তাপাড়ে জড়ো হয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা লাগাতার ৪৮ ঘণ্টা তিস্তাপাড়ে অবস্থান করবো। এখানে পালাগান, সারিগান, ভাওয়াই, লালন, লোকসংগীত ও গ্রামীণ খেলাধুলা হা-ডু-ডু, ঘুড়ি উড়ানো, গোল্লাছুট ও দৌড় প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছি। আমাদের ৪৮ ঘণ্টার লাগাতার অবস্থান কর্মসূচির পর সরকার আমাদের দাবি না মানলে আরও কর্মসূচির ডাক দেব।’

এ দিকে তথ্যসূত্র বলছে, প্রতিবছর বর্ষাকালে উজানে ভারতের পানিতে এ অঞ্চলের মানুষকে ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়তে হয়। শুষ্ক মৌসুমে উজানে ভারত একতরফাভাবে তিস্তার পানি আটকে রাখে। এতে তিস্তার বুকে সেচের পানি পাওয়া যায় না। এ সময় তিস্তা শুকিয়ে মরা নদীতে পরিণত হয়। কর্মহীন হয়ে পড়েন তিস্তার ওপর নির্ভরশীল কৃষক, জেলে ও মাঝি।

এ বিষয়ে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশে তিস্তা নদী ১১৫ কিলোমিটার। তার মধ্যে তিস্তা ব্যারেজের উজানে ২০ কিলোমিটার আর ভাটিতে ৯৫ কিলোমিটার। ভাটিতে তিস্তা নদী পানির অভাবে শুকিয়ে গেছে। তিস্তা ব্যারেজে পানি পাওয়া যাচ্ছে গড়ে দুই হাজার ৮০০ কিউসেক। এই পানি ছয় জেলার ৫৫ হাজার বোরো ধানের পানিতে সেচ দেওয়া হচ্ছে। চুক্তি অনুযায়ী পানির হিস্যা পাওয়া গেলে শুষ্ক মৌসুমেও তিস্তা ব্যারেজের ভাটিতে নদীতে পানিপ্রবাহ থাকতো।’ আরটিভি